স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল নগরীর ব্যস্ততম প্রানকেন্দ্র ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সামীম রহমান মনোনয়নপত্র দাখিল করে ভোট যুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। ওয়ার্ডের সাধারন ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত মতবিনিময় ও ঘরোয়া আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। আসন্ন নির্বাচনে তার সাথে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী ঋনখেলাপীর দ্বায়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর জামাল হোসেন নোমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখন টিকে আছেন বর্তমান কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ ও আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাসুম ভূঁইয়া। সাবেক ও নতুন মুখের কাউন্সিলর প্রার্থীরা ইতোমধ্যে যার যার অতীতের সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে ভোটারদের মন জয় করতে তুলে ধরছেন নিজেদেরকে। ৯ নং ওয়ার্ডের নির্ভরযোগ্য সুত্র মতে, কাটপট্টি, গৃজ্জামহল্লা, চকবাজার, পোর্ট রোড, রসুলপুর, লঞ্চঘাটসহ এলাকা নিয়ে গঠিত গুরুত্বপূর্ন এই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহনকারী অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন মিষ্টিভাষী, সদালাপী ও সর্বজনপ্রিয় কাউন্সিলর প্রার্থী সামীম রহমান।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, কাটপট্টি, গৃজ্জামহল্লা, চকবাজার, পোর্টরোড, রসুলপুর, লঞ্চঘাট বিশাল এলাকা নিয়ে গঠিত জনগুরুত্বপূর্ন এই ওয়ার্ডটিতে এযাবতকালে যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তারা বিশেষ করে রসুলপুরে জলাবদ্ধতা, সড়ক সংস‹ার, অসহায় হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবা এবং নাগরীক সুবিধা প্রদানে ছিলো ব্যর্থ। যার ফলশ্রুতিতে, ওয়ার্ডটি গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল হলেও আধুনিকতা কিংবা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখানে। রসুলপুরে কয়েক হাজার ভোটার থাকলেও কেবল নির্বাচনের সময় মৌখিক কুশলাদি ছাড়া নির্বচন পরবর্তী সময়ে তেমন কোন উন্নয়ন পরিলক্ষিত হয়নি। এমনকি নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এদের অনেককে খুঁেজও পাওয়া যায় না। জনগুরুত্বপূর্ন এই ওয়ার্ডের পোর্ট রোড ও লঞ্চ ঘাটের বাসিন্দারা এ নিয়ে নীরব ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বিগত দিনে আমরা যাদের ভোট দিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছি তারা নিজেদের আখের গোছাতেই ব্যস্ত সময় পাড় করেছেন। ওয়ার্ডের একাধীক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার সাধারন মানুষের ভোটে নির্বাচিত বর্তমান কাউন্সিলর সন্ধ্যা হলেই তাকে আর আলোয় খুঁজে পাওয়া যায় না, অন্ধকারে ডুবে থাকেন। এছাড়া দিনের অন্যান্য সময়ও নিজের কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। যার ফলে এলাকার সাধারন মানুষ কাউন্সিলরের কাছ থেকে প্রাপ্য সুবিধা বঞ্চিতই রয়ে গেছে। অবশ্য আবার নির্বাচন সামনে চলে এসেছে। তাই নির্বাচনকালীন এই সময়ে পূর্বের তুলনায় কিছুদিনের জন্য তাদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। চলছে ভোটারদের ভোট বাগিয়ে নিতে জোড় তোষামোদ।
সুত্রমতে, আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৯ নং ওয়াার্ডে মনোনয়নপত্র দাখিল করা প্রার্থীদের মধ্যে এবার সুবিধা বঞ্চিত ভোটাররা নতুন মুখকে অগ্রাধীকার দেবে এমনটাই জানা গেছে। ভোটারদের মাঝে চলছে চুল ছেঁড়া বিশ্লেষণ। সেই হিসাবে অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে নগরীর পদ্মাবতী সড়কের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সামীম রহমান। গত ২৭ জুন তিনি নির্বাচন কমিশন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। প্রয়োজনীয় লেখাপড়া শেষ করে র্দীঘ দুই যুগ পর্যন্ত এই এলাকার জণকল্যানে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন যা বর্তমানেও অব্যাহত রয়েছে। শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদ বরিশাল মহানগরের সমন্ময়কারী ও আব্দুর রহমান তপন ফাউন্ডেশনের পরিচালক সামীম রহমান দীর্ঘদিন যাবত শুধু তার নিজের ওয়ার্ডই নয় নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডসহ বরিশাল সদর উপজেলার অসহায় হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে আরট ফাউন্ডেশনের ব্যানারে কাজ করে আসছেন। ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সামীম রহমান বলেন, এতদিন বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কাজ করেছি। আসন্ন নির্বাচনে ওয়ার্ডবাসী আমাকে তাদের পবিত্র ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমি এই ওয়ার্ডকে ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে একটি আধুনিক ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে এবং সাধারন মানুষের ভোগান্তি লাঘবে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্ধ্যার পরে কেন ভোটে নির্বাচিত হতে পারি আর নাই পারি বিগত দিনে যেভাবে মানুষের পাশে থেকে সেবা করেছি ভবিষ্যতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের রাস্তার উন্নয়ন, রসুলপুরবাসির নানাবিধ সমস্যা নিরসনসহ এলাকার সব ধরনের উন্নয়ন, মসজিদ-মাদরাসা, মন্দিরের উন্নয়ন সর্বক্ষেত্রেই আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া রসুলপুরের অসহায় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি তাদের স্থায়ী পুনর্বাসন এবং জীবনমান উন্নয়নে আমি সর্বাত্বক পদক্ষেপ গ্রহন করবো। সামীম রহমান বলেন, দুস্থদের জন্য সিটি কর্পোরেশন এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গৃহিত বিভিন্ন কর্মসুচি যাতে তারা সহজে পায় তার ব্যবস্থা গ্রহন করবো। এলাকার দুস্থ মহিলারা যাতে সহজে চিকিৎসাসেবা পায় সেজন্য মাতৃসেবাকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়েও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন সামীম। চক বাজার, পদ্মাবতি এবং পোর্টরোড এলাকার ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘেœ ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে সেই লক্ষে নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা গ্রহনের অঙ্গিকার করেন তিান। তিনি আরও বলেন, এলাকাবাসী আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে ওয়ার্ডের সকলের সহযোগিতা নিয়ে ওয়ার্ডবাসীর নানা সমস্যাসহ উন্নয়নের ধারাবহিকতা অব্যাহত থাকবে। বরিশাল নির্বাচন কমিশন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ৯ নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ৭৩৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪ হাজার ৩৩ জন এবং মহিলা ভোটার ২ হাজার ৭০৬ জন। সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলেও জানান সামীম রহমান।
Leave a Reply